নিজেদের সেক্স লাইফ যেই দম্পতির মাঝে সুন্দর সেই দম্পতি বিবাহিত জীবনে সুখী থাকে। পরকীয়ার আশংকা কমে যায়।
স্বামীর করনীয়ঃ
# একজন স্বামীর তার স্ত্রীকে নিজের অর্ধাংগিনী হিসেবে দেখতে হবে।
বিয়ের প্রথম ৬ মাস থেকে ১ বছর নিজের স্ত্রীকে প্রচুর সময় দিতে হবে। এতে স্ত্রীর মনে আপনার প্রতি ভালোবাসা জন্ম নিবে। সে মনে করবে আপনার জীবনে তার গুরুত্ব আছে।
প্রতিদিন সম্ভব না হলে সপ্তাহে তিন থেকে চারবার সহবাস করতে হবে। মেয়েদের মাসিকের সময় ছাড়া বাকি সময় সপ্তাহে প্রতিদিন না হলেও অন্তত তিন থেকে চার বার সহবাস করবেন। স্ত্রীকে প্রচুর আদর করবেন। স্ত্রী স্বামীর কাছে প্রথমেই আদর চায়। সেক্স করার টাইমে বিভিন্ন ভাবে আদর করবেন। কিভাবে করবেন সেটা আপনি জানেন। অনেক চুম্মন করবেন স্ত্রীর শরীরের বিভিন্ন জায়গায়। স্ত্রী যদি স্বামীর কাছে শারিরীক ভালোবাসা ঠিকভাবে পায় তবে স্ত্রীর মনের মধ্যে স্বামীর প্রতি এক অন্যরকম টান চলে আসবে। আপনি তাকে অনেক কেয়ার করেন এই ধরনের এক মানসিক প্রশান্তি সে পাবে।
স্ত্রীর কাছে যেতে হলে সব সময় হালকা সুগন্ধি ব্যবহার করবেন। কড়া সুগন্ধি স্ত্রী সহ্য করতে পারে না। স্ত্রী যদি আপনাকে খালি গায়ে দেখতে চায় আপনি তার জন্য খালি গায়ে তাকে আদর করুন। স্ত্রীকে আদর করার টাইমে আস্তে আস্তে অনেক কথা বলুন। যেমন, আই লাভ ইউ। তুমি অনেক মিষ্টি, তুমি অনেক কিউট, তুমি অনেক ভালো এসব। যে সব কথা বললে উত্তেজনা বাড়ে সেইসব কথা বলুন।
স্ত্রীকে নিয়ে বেড়াতে যান সপ্তাহে অন্তত একদিন। ছুটির দিনে রেস্তোরাতে খাবার খাওয়াতে নিয়ে যান।
শপিং করতে যান। খরচ হলে হোক। এটাকে জীবনের ইনভেস্টমেন্ট হিসেবে দেখুন। আজ বেশি খরচ করলেন। এর ফলে আগামীতে যদি বেশি শপিং না করেন তবুও স্ত্রীর মন খারাপ হবে না।
স্ত্রীর সাথে মজা করুন। তার সাথে নাটক দেখুন ইউটিউবে। সিনেমা দেখতে যান সিনেপ্লেক্সে।
স্ত্রী যদি ফোন দিয়ে বেশি জ্বালায় তবে সেটাও সহ্য করুন বিয়ের প্রথম ১ বছর। ফোনে স্ত্রীর সাথে মজার মজার কথা বলুন। হাসাহাসি করুন। এতে স্ত্রীর মন ভালো থাকবে। স্ত্রী বেশি ফোন দিলে বলবেন, "আমি এখন একটু ব্যস্ত। আমি একটু পড়ে কথা বলছি।" কখনো স্ত্রীকে বলবেন না যে "এত ফোন দিচ্ছো কেনো। পরে কথা বলছি।"
এটা বললে সে অনেক রাগ করবে। ভাববে আপনি তাকে পছন্দ করেন না। এটা কখনো করবেন না।
স্ত্রীর কথায় কখনো উঠবেন, বসবেন না কিন্তু স্ত্রীকে প্রচুর আদর করুন। একটা কথা আছে, বউকে বসে রাখতে বাসর ঘরে বিড়াল মারতে হয়। বিয়ের প্রথম রাতে সম্ভব না হলে বিয়ের দ্বিতীয় রাতে বিড়াল মারুন। মানে স্ত্রীকে শারিরীকভাবে অনেক আদর করুন। যাতে স্ত্রী সবসময় আপনার প্রতি অনুগত থাকে।
স্ত্রীর করনীয়ঃ
# স্বামী যতই ভালো, ভদ্র হোক না কেনো তার আসল পরিচয় সে একজন পুরুষ। তার কাছে সুন্দরী নারী ভালো লাগবেই। তাই স্বামীর চাহিদাকে গুরুত্ব দিতে হবে। নিজেকে সবসময় স্বামীর কাছে আবেদনময়ী হতে হবে। আবেদনময়ী মানে অশ্লীল জামাকাপড় পড়া না।
সুন্দরভাবে কথা বলতে হবে। সুন্দর, শালীন পোশাক পড়ুন কিন্তু স্বামীর সামনে গেলে হিজাব করবেন না। যতটুকু শালীন থাকা যায় ততটুকুই থাকুন। বেশি শালীনতার দরকার নেই। মনে রাখবেন। আপনি যা করছেন, এটা সবার ক্ষেত্রে একই।
স্বামী যখন আদর করতে চাইবে তখন তার ইচ্ছার প্রতি সায় দিন। যদি আপনার শারিরীক ইচ্ছা কোন কারনে না থাকে তবে সুন্দরভাবে বলুন যে, আপনার মাসিক চলছে, বা আপনার এই সমস্যা হচ্ছে। আজ না, আগামীকাল। সুন্দরভাবে বললে স্বামী তখন বুঝবে। আর যদি স্বামীর সমস্যা হয় তবে আপনি ওরাল সেক্স করুন। স্বামীকেও আদর করুন। স্বামী বেশি উত্তেজিত থাকলে তার গোপন অংগ নিজ হাতেই স্পর্শ ও মাষ্টারবেট করে তার উত্তেজনা প্রশমন করুন।
স্বামী আপনাকে বিছানায় যেভাবে পেতে চায় চেষ্টা করুন সেইভাবে হতে। লজ্জা নারীর ভূষন কিন্তু অতিরিক্ত লজ্জা করলে স্বামী দূরে সরে যাবে। তাই স্বামী আদর করতে গেলে আপনিও তাকে আদর করুন। তার কপালে চুমু দিন। ঠোটে চুমু দিন। স্বামীর অনেক ভালো লাগবে। রোবটের মতো থাকবেন না। স্বামীকে জড়িয়ে ধরে আলিংগন করুন। স্বামীকে আদর করুন তার কপালে, দুই গালে, ঠোটে। স্বামীর কানের কাছে গিয়ে বলুন, আই লাভ ইউ। আমি তোমাকে অনেক পছন্দ করি। স্বামীর অনেক ভালো লাগবে শুনতে।
স্বামীকে সবসময় বিশ্বাস করুন। অন্য মেয়ের সাথে কথা বলতে দেখলে খারাপ লাগলেও ব্যাপারটি অন্য ভাবে নিবেন না। যদি মনে করেন স্বামী অন্যের হয়ে যাচ্ছে বা পরকীয়া করছে তবে স্বামীকে রাতে প্রচুর টাইম দিন। নিজে থেকে প্রচুর আদর করুন। স্বামীকে মজার মজার রান্না করে খাওয়ান।
সাংসারিক মেয়ে হোন। স্বামীর মা মানে নিজের শাশূড়ীকে নিজের মায়ের চেয়েও বেশি কেয়ার করুন। শাশূড়ী বা ননদের ব্যাপারে স্বামীর কাছে অভিযোগ করবেন না। শাশূড়ীর ব্যাপারে তো কখনোই না। মনে রাখবেন, ননদ বিয়ে করে একসময় চলে যাবে কিন্তু শাশূড়ীকে সব সময় সেবা করতে হবে। এটা আপনার দায়িত্ব। স্বামীর শারিরীক চাহিদার দিকে খেয়াল রাখলে ও শাশূড়ীর প্রতি যত্ন নিলে কোনো পুরুষের পক্ষে পর নারীর প্রতি আসক্ত হওয়া কঠিন।
0 Comments
আপনার মতামতের জন্য ধন্যবাদ।