মৃত্যুদণ্ড বা ফাঁসির রায় দিয়ে বিচারক কলমের নিব ভাঙেন কেন?

                      অনলাইন ডেস্কঃ

                     Time:10:05 am

               

                   আজ

১৯ আষাঢ় ,১৪৩০ বঙ্গাব্দ,বর্ষাকাল,-সোমবার ০৩ জুলাই-২০২৩ খ্রিস্টাব্দ,১৪ জ্বিলহজ্জ, ১৪৪৪ হিজরি।


ফাঁসির আদেশ লেখার পর বিচারকেরা কেন কলমের নিব ভেঙে ফেলেন?



ভরা কোর্টে রুমে বিচারক ফাঁসির রায় লিখেই কলমের নিবটা ভেঙে ফেলেন। কি? অবাক হচ্ছেন? অবাক হবারই কথা। সেই ব্রিটিশ আমল থেকেই এই প্রথা চলে এসেছে।


 সিনেমা বা সিরিয়ালে কিংবা বাস্তব জীবনে হয়তো অনেকেই এমন দৃশ্য দেখেছেন। কিন্তু কেন এই কাজ করা হয় তা অনেকেই জানেন না।এই নিব ভেঙে ফেলার পেছনে নানা রকম দার্শনিক ব্যাখ্যা আছে। তবে কোনো আইনে এরকম করার কোনো বিধি-বাদ্ধকতা নেই। এটি একটি রীতি হিসেবেই চলে এসেছে।


চলচ্চিত্রে প্রায় আমরা দেখি দণ্ডিতের সাথে
দণ্ডদাতা কাঁদে যবে সমান আঘাতে
সর্বশ্রেষ্ঠ সে বিচার।
যার তরে প্রাণ কোন ব্যথা নাহি পায়,
তার দণ্ডদান প্রবলের অত্যাচার।

তো, সে মন খারাপের অনুভূতি থেকে নিজেকে দূরে রাখতেই মৃত্যুদণ্ডদাতা বিচারক নিবটি ভেঙে ফেলেন। এর তৃতীয় ব্যাখ্যায় বলা হয়, মন খারাপের অনুভূতি থেকে বা অপরাধবোধ হতে বিচারক তাঁর প্রদত্ত দণ্ড ফিরিয়ে নেওয়ার কথাও ভাবতে পারেন। কিন্তু তিনি যেন তা না করতে পারেন, তার জন্যই কলমের এ নিব ভেঙে ফেলা।

চতুর্থ বা সর্বশেষ ব্যাখ্যায় বলা হয়, যেকোনো মৃত্যুই দুঃখ দেয়, কম বা বেশি, যদিও কখনো কখনো গুরুতর অপরাধের ক্ষেত্রে মৃত্যুদণ্ডের মতো সর্বোচ্চ শাস্তিরও প্রয়োজন হয়। তার পরও কলমের নিব ভেঙে ফেলার মাধ্যমে বোঝানো হয়, মৃত্যু একটি দুঃখজনক বিষয়।


এই রীতির সমর্থনে যা জানা যায়,

১। মৃত্যুদণ্ডের মাধ্যমে একজনের জীবন কালের ইতি টেনে দেওয়া হয় এবং বিচারক চান না, দ্বিতীয়বার তাঁর আদেশ দ্বারা আরেকটি জীবনের ইতি হোক।

২। মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার পর সেই আদেশকে পুনর্বিচার করার সুযোগ থাকে না। যদি বিচারক, মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার পর শাস্তি সম্পর্কে তাঁর মানসিকতা পরিবর্তন করেন, তথাপি মৃত্যুদণ্ডের আদেশকে আর কোনোভাবেই পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। সেই বার্তার প্রতীকী হিসেবেই, ক্যাপিটাল পানিশমেন্ট দেওয়ার পর, আদেশনামা লেখার কলমটিকে আর ব্যবহারযোগ্য রাখা হয় না।

৩.  বিচারক 'অপরাধ বোধ' থেকে পেনের নিব ভেঙে ফেলেন। কারণ, প্রাণ নেওয়ার ক্ষমতা শুধু সৃষ্টিকর্তার বলে মনে করা হয়। তাই বিচারক পেনের নিব ভাঙার মধ্যে দিয়ে বুঝিয়ে দেন যে তিনি শুধু তাঁর পেশাদারি দায়বদ্ধতাটুকুই সারলেন।


চোখের জলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন তামিম।


অবসর নাকি অধিনায়কত্ব ছাড়বেন, কোন পথে হাঁটবেন তামিম?


সাকিব-তামিমকে ছাড়া তৈরি হতে বললেন লিটন,


অবশেষে তামিম সম্পর্কে  মুখ খুলেছেন -মাশরাফি বিন মর্তুজা। 


৩১৩ পদে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (DNC) এ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি -


৩০৪ পদে বাংলাদেশ স্পাইন এন্ড অর্থোপেডিক হাসপাতাল প্রাঃ লিঃ এ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি

Post a Comment

0 Comments