অনলাইন ডেস্কঃ
Time:02:41pm
২২ জ্যৈষ্ঠ,১৪৩০ বঙ্গাব্দ,গ্রীষ্মকাল,- সোমবার, ০৫ জুন-২০২৩ খ্রিস্টাব্দ,১৫ জ্বিলকদ, ১৪৪৪ হিজরি।
রঙিন মাছের প্রজনন বিভিন্ন প্রজাতির জন্য বিভিন্ন রূপ৷ যাই হোক প্রজননের বৈশিষ্ট অনুযায়ী রঙিন মাছকে মূলত বাচ্চা পাড়া বা অন্তজ জনন (Live bearer) গোষ্ঠী ও ডিম পাড়া বা অন্ডজ জনন (Egg layar) গোষ্ঠীতে ভাগ করা যায়৷
বাচ্চা পাড়া গোষ্ঠীর মধ্যে গাপ্পি, সোর্ড টেল, মলি, প্লাটি, গাম্বুসিয়া উল্লেখযোগ্য এবং ডিমপাড়া গোষ্ঠীর মধ্যে পুঁটি, খলসে, চাঁদা, পায়রাচাঁদা, জেব্রা, দাঁড়কে, ট্যাংরা, মৌরলা, ঘুঁতে, ভুতো বেলে, আনজেল, ডিসকাস, ফাইটার, টেট্রা, শার্ক এবং গোল্ডফিস৷
আবার ডিমপাড়া গোষ্ঠীর স্বকীয় বৈশিষ্টের জন্য এদেরকে চারটি ছোট দলে ভাগ করা যেতে পারে- আলগা ডিম পাড়ে এমন দল৷ যেমন- জেব্রা৷ আঠালো ডিম পাড়ে এমন দল৷ যেমন- গোল্ডফিস, বিভিন্ন জাতের পুঁটি, টেট্রা৷ বাবল নেষ্টের মধ্যে ডিম পাড়ে এমন দল৷
যেমন- খোলসে, ফাইটার, গোরামী৷ আঠালো ডিম যত্ন নিয়ে পাড়ে এমন দল৷ যেমন- আনজেল, ডিসকাস্৷ Live bearing মাছেদের বাচ্চা তোলা খুবই সোজা৷ এরা প্রায় বারো মাসেই বাচ্চা দেয়৷ দেখা যায় এরা বেশীর ভাগ একাদশী, আমাবস্যা, পূর্ণিমা এইসব দিনে বাচ্চা দেয়৷
বাচ্চা ছাড়তে আরম্ভ করলে সাধারণত ৪ ঘন্টার মধ্যে সব বাচ্চা ছেড়ে দেয়৷ এই জাতের মাছেরা যখন বাচ্চা দিতে আরম্ভ করে তখন তিনবার পর পর ২০-২১ দিন বাদে বাদে দেয়৷ অনেক সময় মাছেরা নিজেদের পেট ভরা খাবার না পেলে নিজেদের বাচ্চাদের খেয়ে ফেলে৷
Live bearing মাছেদের পুরুষ ও স্ত্রী চেনা খুব সহজ৷ পুরুষদের পেটের কাছে একটি ছুঁচালো পাখনা হয় যাকে ইংরাজীতে Gonopodium বলে, স্ত্রী মাছেদের পাখনা গোল হয় এবং মোটা পেটে কালো দাগ দেখা যায় যাকে Gravid spot বলে৷
সারা বছর ধরে গাপ্পি ও গোল্ড ফিসের প্রজনন ও চাষ করা হয়৷ যদিও শীতে গাপ্পি কম বাচ্চা দেয় ও গ্রীষ্মে গোল্ডফিস কম ডিম পাড়ে৷
শীতকালের প্রজননের জন্য আদর্শ-মাছ হচ্ছে গোল্ড ফিস, কই কার্প, ম্যানিলা কার্প, ক্যাট ফিস ইত্যাদি৷ গ্রীষ্মকালে টাইগার বার্ব, রোজীবার্ব, উইডো টেট্রা, শার্পে টেট্রা, সোর্ডটেল, মলি, প্লাটি প্রজনন করানো ভাল৷ বর্ষাকালে পার্ল গোরামী, কিসিং গোরামী, ডোয়ার্ফ গোরামী, ব্লু চিকলিড, জেব্রা চিকলিড, টেট্রা, টাইগার বার্ব করা ভাল৷
0 Comments
আপনার মতামতের জন্য ধন্যবাদ।