👉 ম্যাগনেটিক পিলার কী? কেনইবা বসানো হয়েছিল এই পিলার?
১৭৫৭ সালে পলাশী যুদ্ধের কয়েক বছর পর ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি একটি ভূমি জরিপ করে। সেই জরিপে তিনটি মৌজা যে বিন্দুতে গিয়ে মিলেছে, সেখানে একটি করে পিলার বসানো হয়েছিল। এতে চুম্বক থাকার কথাও শোনা যায়, যাতে করে, ঘোর বর্ষা বা বন্যায় পিলার ডুবে গেলে যেন অন্য কোনো ধাতু দিয়ে পিলারটি চিহ্নিত করা যায়। এ বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশের স্বনামধন্য পত্রিকা দৈনিক প্রথম আলোর অনলাইন সংস্করণে গতকাল ২৭-০৫-২২ ইং একটি বিস্তারিত নিউজ করে। এই প্রশ্নের পূরো উত্তরটিই প্রথম আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণের তথ্যনুযায়ী।
👉 ম্যাগনেটিক পিলার কী দিয়ে তৈরী?
"১৯৯৯ সাল থেকে পরমাণু শক্তি কমিশনে কর্মরত ড. বিলকিস আরা বেগম যার উপস্থিতিতে ম্যাগনেটিক পিলার নিয়ে অন্তত ১০টি পরীক্ষা হয়েছে, তিনি বলেন, পিলারগুলোর কিছু অংশ নিয়ে তাঁরা এক্স–রে ফ্লুরোসেন্স টেকনিক ব্যবহার করে দেখেন কী কী উপাদান আছে। এখন পর্যন্ত ক্যালসিয়াম, আয়রন, সিলিকন, টাইটেনিয়াম পেয়েছেন। কোনো কোনোটির ভেতর শুধু আরসিসি রডও ছিল। ইরিডিয়াম ছিল না"।
তাহলে আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, পিলারগুলোর ভেতর থেকে প্রাপ্ত বস্তুর তালিকায় ইরিডিয়ামই ছিল একমাত্র দুর্লভ বস্তু!
👉 এই ইরিডিয়াম আসলে কতটা দুর্লভ? ইরিডিয়াম দিয়ে কী বিদুৎ উৎপাদন করা যায়?
"ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কামরুল হাসান মামুন প্রথম আলোকে বলেন, ইরিডিয়ামের ব্যবহার সীমিত। যেমন একাধিক ধাতুর মিশ্রণে নতুন শক্তিশালী ধাতু তৈরিতে ইরিডিয়াম কখনো কখনো ব্যবহৃত হয়ে থাকে। ইরিডিয়াম থেকে কিছুটা আলো বের হয়। কিন্তু এ থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের বিষয়টি ডাহা মিথ্যা কথা"।
👉 অনেকের ধারনা ম্যাগনেটিক বজ্রপাত নিরোধ করে, আসলেই কী তা সত্য?
"এ বিষয়ে জানতে লন্ডনের আবহাওয়া বিভাগে ই–মেইল করেছে প্রথম আলো। ফিরতি ই–মেইলে কোনো পিলার কখনো বজ্রপাত নিরোধে কাজ করত তা কি না, জানা নেই বলে জানিয়েছে তারা"।
আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, সীমানা চিহ্নিত করতে বসানো পিলারে অলৌকিক কিছু ছিল, এমন কোনো প্রমাণ নেই। তবে এই নিয়ে নানা প্রচার আছে। আর এই প্রচারকে কাজে লাগিয়ে কিছু প্রতারক চক্র নানা কৌশলে মানুষকে বোকা বানিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা। অবস্থার প্রেক্ষাপটে এখন মনে হচ্ছে, ম্যাগনেটিক পিলার হচ্ছে, বাংলাদেশ এবং ভারতে দশকের পর দশক ধরে মানুষকে প্রতারণা করার এক উৎকৃষ্ট হাতিয়ার!
সুতরাং এসব বিষয়ে নিজে সচেতন থাকুন, অন্যকেও সচেতন করতে চেষ্টা করুন। সাথে থাকার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এ বিষয়ে আরো বিস্তারিত জানতে মূল সাইটটি ভিজিট করুন।-সূত্রঃ দৈনিক প্রথম আলো।
0 Comments
আপনার মতামতের জন্য ধন্যবাদ।