গোলাপজাম ফলের পুষ্টিগুন।

ফলের নাম গোলাপজাম। দেখতে যেমন দৃষ্টি নন্দন ও খেতেও তেমনি সুস্বাদু। কিন্তু এই ফল খুব একটা চোখে পড়ে না। এক সময় এই ফলটি ছিল খুব পরিচিত।

কিন্তু কালের বিবর্তনে এই ফলটি এখন আর তেমন দেখা যায় না।

গোলাপজাম দেখতে যেমন সুন্দর তেমনি ফুলও খুবই দৃষ্টিনন্দন। ফল কাঁচা অবস্থায় সবুজ থাকে। পাকতে শুরু করলে ধবধবে সাদা অথবা সাদাটে হলুদ হয় বা শুধুই হলুদ হয়। কাঁচা ফল খেতে টক হলেও পাকা ফল খুবই মিষ্টি।

এই ফল পাকলে গোলাপের মত কিছুটা গন্ধ বের হয় বলেই সম্ভবত এ নাম। বৃহত্তর সিলেট এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে বাড়ির আশেপাশে এই ফলটি হয়। নাম থেকেই বোঝা যায় এটি মূলত দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার গাছ। গাছ দীর্ঘদিন বাঁচে প্রায় ৪০/৫০ বছর এবং ফল দান করে। গাছ মাঝারী আকৃতির। গাছ লাগানোর ২/৩ বছর পর থেকেই ফল সংগ্রহ করা যায়। গোলাপজাম গাছে মাঘ-ফাল্গুন মাসে ফুল আসে এবং বৈশাখ থেকে শ্রাবণ মাসের মধ্যে ফল পাকে। গোলাপজামের ফুলও খুবই দৃষ্টিনন্দন।

একটি গোলাপজামে প্রায় ৪০ কিলো ক্যালরি খাদ্যশক্তি থাকে। পেটের পীড়া, ডায়রিয়া, বমিভাব দূর করতে এটি কার্যকর। এ ছাড়া গাছের ছাল ও পাতা ডায়াবেটিসের জন্য উপকারী।

বিলুপ্তপ্রায় এই ফলকে রক্ষা করার তেমন কোনো উদ্যোগ নেই দেশে। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) এর মহাপরিচালক ড. আবুল কালাম আযাদ জানান, দেশে অনেক ফলই রয়েছে। কিন্তু আমাদের লোকবল কম থাকায় সব ফল নিয়ে গবেষণা করা সম্ভব হচ্ছে না।

তথ্য সূত্রঃবাংলাদেশ প্রতিদিন

Post a Comment

0 Comments