ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়ার কারণ কী এবং এর প্রতিকার?

এ রকম সমস্যা থেকে মুক্তির উপায়ও আছে।

প্রচণ্ড পরিশ্রমের কাজ যারা করেন, ঘামেন, তারা ৫ লিটার পানি খেলে হয়ত ২ লিটার প্রস্রাব হবে যারা বিশ্রামে থাকেন বা ঘামেন না তারা ২.৫ লিটার খেলেই ২ লিটার প্রস্রাব হতে পারে তবে এক সাথে ১ গ্লাসের বেশি পানি পান করার দরকার নেই।

এর ব্যতিক্রম হলেই চিন্তার বিষয়। কি কারণে এরকম হওয়ার সমস্যা হচ্ছে সেটি বের করতে হবে এবং সে অনুযায়ী প্রপার চিকিৎসা নিতে হবে। ডায়াবেটিস, ইউরিনারি ট্রাক্ট ইনফেকশন, প্রোস্টেটে ইনফেকশন, ব্লাডার ক্যান্সার, ব্লাডার বা কিডনিতে পাথর, মূত্র নালীর সংকোচন ইত্যাদি যে কারণই দায়ী থাকুক না কেন সেটি যথাযথ ভাবে নির্ণয় করে প্রপার হোমিও ট্রিটমেন্ট নিলে এই সমস্যা দূর হয়ে যায়।

ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়ার কারণ

  • বেশি বেশি পানি পান করা একটি প্রধান কারণ
  • দুঃশ্চিন্তা, বিশেষ করে ছাত্র-ছাত্রীদের পরীক্ষাকালীন সময়ে বা ইন্টারভিউ দেয়ার পূর্বে
  • যুবকদের পর্ণ দেখা বা উত্তেজক চিন্তার ফলেও ঘন ঘন প্রস্রাব হতে পারে
  • শীতকাল বা ঠান্ডা-শুষ্ক পরিবেশে মানুষের শরীর ঘামে না, ঐ সময় অতিরিক্ত প্রস্রাব তৈরি করে কিডনী শরীরে পানি ও লবণের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে
  • কিছু রোগের লক্ষণ হিসেবে অতিরিক্ত প্রস্রাব হয়, যেমন - ডায়াবেটিস, প্রস্টেট গ্রন্থির টিউমার, প্রস্রাবে জীবাণু সংক্রমণ ইত্যাদি
  • কিডনী অকেজো হবার অন্যতম লক্ষণ হল অতিরিক্ত প্রস্রাব হওয়া
  • ব্লাডার ক্যান্সার, ব্লাডার বা কিডনিতে পাথর হলে
  • মূত্র নালীর সংকোচন হলে ঘন ঘন প্রস্রাব বা প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া হতে পারে
  • এছাড়া এলকোহল, চা, কফি পান করাও অতিরিক্ত প্রস্রাব হবার জন্য দায়ী
  • ইনফেক্শন একটি কারণ। এটি হলে প্রস্রাবের সাথে জ্বালাপোড়া হবে। প্রস্রাব ছাড়াও জ্বালাপোড়া হবে। মেয়েদের ক্ষেত্রে দেখা যায় তাদের পেলভিক এরিয়াতে বা তলপেটে জ্বালাপোড়া করছে।
  • পুরুষদের প্রোস্টেটে ইনফেকশন হলেও ঘন ঘন প্রস্রাব হতে পারে
  • প্রস্রাবের পথে যদি কোন বাধা থাকে তাহলেও ঘন ঘন প্রস্রাব হতে পারে
  • মেয়েদের গর্ভে সন্তান আসার প্রথম ৩ মাসে ঘন ঘন প্রস্রাব হতে পারে
  • মেয়েদের পেলভিক ইনফ্লামেশন হলেও ঘন ঘন প্রস্রাব হতে পারে
  • যক্ষা বা TB হলেও তলপেটে জ্বালাপোড়া, প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া এবং ঘন ঘন প্রস্রাব হতে পারে
  • প্রস্রাবের থলিতে ক্যান্সার হলেও প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া এবং ঘন ঘন প্রস্রাব হতে পারে, এমনকি রক্তও বের হতে পারে

ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়ার প্রতিকার

প্রচণ্ড পরিশ্রমের কাজ যারা করেন, ঘামেন, তারা ৫ লিটার পানি খেলে হয়ত ২ লিটার প্রস্রাব হবে যারা বিশ্রামে থাকেন বা ঘামেন না তারা ২.৫ লিটার খেলেই ২ লিটার প্রস্রাব হতে পারে তবে এক সাথে ১ গ্লাসের বেশি পানি পান করার দরকার নেই।

তবে এর ব্যতিক্রম হলেই চিন্তার বিষয়। কি কারণে ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়ার সমস্যা হচ্ছে সেটি বের করতে হবে এবং সে অনুযায়ী প্রপার হোমিও চিকিৎসা নিতে হবে। ডায়াবেটিস, ইউরিনারি ট্রাক্ট ইনফেকশন, প্রোস্টেটে ইনফেকশন, ব্লাডার ক্যান্সার, ব্লাডার বা কিডনিতে পাথর, মূত্র নালীর সংকোচন ইত্যাদি যে কারণই দায়ী থাকুক না কেন সেটি যথাযথ ভাবে নির্ণয় করে প্রপার হোমিও ট্রিটমেন্ট নিলে ধীরে ধীরে এই সমস্যা দূর হয়ে যায়।

তথ্যসূত্র,প্রথম আলো, 

Post a Comment

0 Comments