বিলিম্বি ফলের পরিচিতি
বিলিম্বি বাংলাদেশের একটি অপ্রচলিত ফল। কামরাঙ্গা পরিবারের এ গাছের পাতা, ফুল ও ফল দেখতে খুবই সুন্দর । গাছে নতুন পাতা গজালে সে পাতাকেও আবার ফুলের মত মনে হয় । গাছ প্রায় একই রকম তবে ফল আকারে লম্বা ২/৩ ইঞ্চি । এর রঙ দেখতে সবুজ । দেখতে আঙুরের মত হলে সুন্দর । এ ফলটি কাঁচা অবস্থায় খুব টক হলেও রান্নার পর বা চাটনি কিংবা আচার তৈরী করার পর টক থাকেনা । বিলিম্বি ফলে আমিষ, শ্বেতসার , চর্বি, খনিজ, ভিটামিন, কারোটিন, ক্যালোরি, সবই আছে।চাটনি বানিয়ে বিলিম্বি খেতে মেয়েরা বেশি পছন্দ করে।
১০০ গ্রাম বিলিম্বিতে রয়েছে আর্দ্রতা ৯৪.২-৯৪.৭ গ্রাম, আমিষ ০.৬১ গ্রাম, Ash ০.৩১- ০.৪০ গ্রাম, তন্তু ০.৬ গ্রাম, ফসফরাস ১১.১ মিলিগ্রাম, ক্যালসিয়াম ৩.৪ মিলিগ্রাম, লৌহ ১.০১ মিলি গ্রাম, থায়ামিন ০.০১০ মিলিগ্রাম, রিবোফ্লাভিন ০.০২৬ মিলিগ্রাম, ক্যারোটিন ০.০৩৫ মিলিগ্রাম।
বিলিম্বি ফলের উপকারিতা
(১) বিলিম্বি গাছের ফল প্রতিনিয়ত খেলে উচ্চরক্তচাপ ও ডায়াবেটিসের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে ।
(২) সর্দি কাশি নিরাময়ে বিলিম্বি ফুল ভালো কাজ দেয়। গরম পানির সঙ্গে এটিকে জ্বাল দিতে হবে । এই পানি নিয়মিত সেবন করলে সর্দি-কাশি ভালো হয়ে যায় ।
(৩) বিলিম্বির পাতা বিষধর প্রাণীর কামড় থেকে নিরাময়ের জন্য ব্যবহার করলে উপকার পাওয়া যায় ।
(৪) বিলিম্বির পাতা বেটে গায়ে লাগালে চুলকানি নিরাময় হয়ে থাকে ।
(৫) বিলিম্বি গাছের ফল প্রতিনিয়ত খেলে উচ্চরক্তচাপ ও ডায়াবেটিসের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে ।
(৬) বিলিম্বির পাতা বিষধর প্রাণীর কামড় থেকে নিরাময়ের জন্য ব্যবহার করলে উপকার পাওয়া যায় ।
(৭)ফিলিপাইননে বিলিম্বির পাতা চুলকানি, ফোলা, বাত, মাম্পস বা চামড়া ফাটার জন্য পেস্ট হিসাবে ব্যবহার করা হয়।
কুমিল্লা, চট্টগ্রাম অঞ্চলে এর ফলন বেশি। । বিলিম্বি ছোট মাছ, বড় মাছের মাথা বা মাছের ডিম দিয়ে রান্না করে খেলে স্বাদ অনেকগুণ বেড়ে যায়। ডাল বা মাংশতেও বিলিম্বি ব্যবহার করা যায়। একটি বিলিম্বি গাছ বাড়িতে থাকলে নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে সারা বছরই পাড়া প্রতিবেশীদের মধ্যে বিলি করা যায় আমার নানুর বাড়িতে যা হয় আরকি।। অপ্রচলিত এ ফলটি এখন বাজারে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। বিক্রিও হয় বেশ চড়া দামে। পরিচিতি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে এর চাহিদাও বাড়ছে দিনে দিনে।
সূত্র:গুগল
0 Comments
আপনার মতামতের জন্য ধন্যবাদ।