বর্তমানে ভারতের বংশদ্ভূত ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক সম্পর্কে অজানা তথ্য।

ব্রিটেনের ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী হলেন 42 বছরের ঋষি সুনাক। আমি তাঁর সমন্ধে কিছু তথ্য সংগ্রহ করে তাঁর সম্পর্কে লেখার চেষ্টা করলাম।

Photo source: rishisunak.mp4 (Instagram)

  • 12 মে 1980 সালে ব্রিটেনের সাউদাম্পটন (Southampton) এলাকায় এক ভারতীয় পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন ঋষি সুনাক ।
  • তাঁর পিতার নাম যশবীর সুনাক এবং মাতা ঊষা সুনাক। পিতা ব্রিটেনে একজন জিপি (জেনারেল প্র্যাকটিশনার) ডাক্তার ছিলেন এবং তাঁর মা ছিলেন ফার্মাসিস্ট। ঋষি সুনকের দাদু ও ঠাকুমা পাঞ্জাবের বাসিন্দা।
  • সুনক স্ট্যানফোর্ড এবং অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র।
  • তিনি ইনফোসিসের সহ-প্রতিষ্ঠাতা নারায়ণ মূর্তির মেয়ে অক্ষতা মূর্তিকে বিয়ে করেন। বর্তমানে এই দম্পতির দুই মেয়ে হলেন অনুষ্কা ও কৃষ্ণা।
  • 2001 থেকে 2004 সাল পর্যন্ত ঋষি সুনাক মার্কিন বিনিয়োগ কম্পানি গোল্ডম্যান সাক্‌সে চাকরি করেছেন।
  • রাজনৈতিক জীবনে 2015 সালে ইয়র্কশায়ারের রিচমন্ড কেন্দ্র থেকে প্রথমবারের মতো সাংসদ হন ঋষি সুনাক।
  • থেরেসা মে প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন তিনি ‘লোকাল গভর্নমেন্ট’-এর প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।
  • আর 2019 সালে বরিস প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর তার গুরুত্ব আরও বাড়ে। এরপর সরাসরি অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন।
  • মন্ত্রিসভার একের পর এক সদস্যের পদত্যাগের চাপে ব্রিটিশ প্রাইম মিনিস্টার পদ থেকে ইস্তফা সিদ্ধান্ত নিতে হল বরিস জনসনকে।
  • নিজের দলের সদস্যদের ক্ষোভের মুখে পড়ে প্রাইম মিনিস্টার পদ থেকে ইস্তফা দিলেন বরিস জনসনের।
  • তারপর থেকেই ঋষি সুনকের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা জোরালো হয়ে উঠেছিল। তবে শেষপর্যন্ত লিজ ট্রাস হন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু ৪৫ দিনের মাথায় লিজ ট্রাসের ইস্তফার পর উঠে আসে ঋষির নাম। এ দফাতেও তাঁর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ও প্রাক্তন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী পেনি মরড্যান্ট। তবে বরিস আগেই বেরিয়ে যান। শেষপর্যন্ত লড়াই হয়ে দাঁড়িয়েছিল ঋষি ও পেনির।
  • ব্রিটেনের পার্লামেন্টের অধিকাংশ সদস্যই ঋষির পক্ষে মত দিয়েছিলেন। ফলে তাঁর জয় ছিল সময়ের অপেক্ষা। হার নিশ্চিত জেনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়ান পেনি।
  • এবং শেষমেশ ব্রিটেন এর প্রধানমন্ত্রী হয়ে গেলেন তিনি । এবং বর্তমানে ব্রিটিশ কনজারভেটিভ পার্টিতেও জনপ্রিয় মুখ তিনি।

. . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . .

তো এই হলো তার সম্পর্কের কিছু মূল্যবান কথা।

ধন্যবাদ

Post a Comment

0 Comments