পাকস্থলীর আলসার হলো একধরনের ঘা যা পাকস্থলীর ভিতরের আবরণ, উপরের ক্ষুদ্রান্ত্র অথবা খাদ্যনালীতে সৃষ্টি হয়ে থাকে। পাকস্থলীর আলসারের সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণ হলো পেট ব্যথা।
আলসার কেন হয়?
একধরনের অণুজীব (ব্যাকটেরিয়া হেলিকোব্যাক্টোর পাইলোরি) এই রোগের কারণ। এছাড়া খাবারে অতিরিক্ত তেল,মসলার ব্যবহার, নিয়মিত ব্যথার ওষুধ সেবন,অতিরিক্ত চাপ, মদ্যপান ও ধূমপান করলেও পাকস্থলীর আলসার হতে পারে।
আলসার হয়েছে কি করে বুঝবেন
রোগের সবচেয়ে সাধারণ উপসর্গ হলো তীব্র ব্যথা।
নাভি থেকে শুরু করে বুকের হাড় পর্যন্ত এই ব্যথা অনুভূত হয়। ব্যথা কয়েক মিনিট থেকে কয়েক ঘণ্টা পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। পাকস্থলী খালি থাকলে ব্যথা আরো বেশি অনুভূত হয়।
খাবার খেলে বা এসিডের ওষুধ খাওয়ার ফলে সাময়িকভাবে ব্যথার উপশম হয়। আবার ক্ষুদ্রান্ত্র আলসার বা ঘাতে খেলেও ব্যথা বাড়ে। ব্যথা চলে গিয়ে কিছু দিন বা কয়েক সপ্তাহের জন্য আবার ফিরে আসে। ভয়াবহ হয়ে গেলে বমি বমি ভাব অথবা বমি হয়।হঠাৎ করে শরীরের ওজন কমে যায়। খাবারে রুচির পরিবর্তন হয়। মলের রং কালচে হলে বুঝতে হবে রক্ত যাচ্ছে।
আলসারের প্রতিকার
খাদ্যাভাসে পরিবর্তন আনতে হবে। তেল, মশলা, ভাজা, পোড়া কম খাওয়া ভালো। একসাথে অনেক খাবার না খেয়ে বড় মিলগুলোকে ছোট ছোট মিলে ভাগ করে নেয়া ভালো। অল্প করে বারবার খাবেন। প্রচুর জল পান করতে হবে। শসা, আদা, পেঁপে, কলা এসব ফল খেতে পারেন। রোগের ভয়াবহতা অনুসারে আপনার ডাক্তার আপনাকে এন্টাসিড
এলগিনেটস দিতে পারে। সবচেয়ে প্রচলিত প্রোটন পাম্প ইনহিবিটর গুলো আছে ঔষধ হিসেবে। ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হলে ডাক্তার এন্টিবায়োটিক দিতে পারে। এখানে আসলে ঔষধ একেকজনের বেলায় একেক রকম হবে।
0 Comments
আপনার মতামতের জন্য ধন্যবাদ।