তালের কথা উঠলেই বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের " তাল নবমী" গল্পের কথা মনে পড়ে যায়।যেখানে এক শিশুর তালনবমীতে নিমন্ত্রণ খাবার আকাঙ্ক্ষার কথা ব্যক্ত করা হয়েছে।
আমাদের বাড়িতে জন্মাষ্টমীর পুজোতে গোপাল ঠাকুরের জন্য বিশেষভাবে পাকা তালের বিভিন্ন খাবার তৈরি হয়।সাধারণত সব বাড়িতেই তালের বড়া ও তালের বিভিন্ন রকমের পিঠা যেমন পাটিসাপটা, পুলি পিঠা প্রভৃতি বানানো হয়।কিন্তু যেহেতু বড়া ও পিঠা ছাড়া অন্যান্য খাবারের বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে, তাই অন্য কয়েকটা উল্লেখ করলাম।তবে এগুলোর মধ্যে অনেকগুলোই পুজোতে দেওয়া হয় না।
তালের পুডিংঃ তাল , দুধ ও ডিম সহযোগে তৈরী করা হয়।
তালের ধোকলাঃ তালের রস, নারকেল কোরা, ডিম, সুজি,চালের গুঁড়ো,ময়দা, চিনি সহযোগে তৈরি করতে হয়।
তালের ক্ষীরঃ পাকা তাল, নারকোল কোড়া, অল্প নুন ও চিনি দিয়ে তৈরি হয়।
তালের কেকঃ তালের সাথে দুধ, ডিম, চিনি, ময়দা সহযোগে কেক তৈরি করা যায়।
তালের পায়েসঃ তালের সাথে দুধ, চিনি, বাদাম, কিশমিশ প্রভৃতি মিশিয়ে সুস্বাদু পায়েস তৈরি হয়।
তালের রুটিঃ তালের রস,নারকেল কোড়া,চিনি,চালের গুঁড়ো দিয়ে রুটি তৈরি করা যায়।
তালের মালপোয়াঃ তালের রসের সাথে ময়দা, চিনি, বাদাম কুচি, নারকোল কোড়া মিশিয়ে মালপোয়া তৈরি হয়।
তালের হালুয়াঃ তালের সাথে অল্প পরিমানে সুজি মিশিয়ে হালুয়া তৈরি করা হয়।
তালের সন্দেশঃ তালের সাথে দুধ, চিনি ও অল্প ময়দা বা সুজি মিশিয়ে সন্দেশ তৈরি করা যায়।
তালের আইস্ক্রিম শেকঃ তালের রস, গুঁড়া দুধ, চিনি ,বরফ কুচি মিশিয়ে আইস্ক্রিম শেক তিরি হয়।
তালের প্যানকেকঃ তালের সাথে ময়দা, দিন, চিনি মিশিয়ে প্যানকেক বানানো যায়।
তালের ফিরনিঃ চালের গুঁড়ো, তাল, নারকোল,দুধ,এলাচ,দারচিনি দিয়ে ফিরনি তৈরি করা যায়।
তাল পাতুরিঃ তালের রস, চিনি, নারকোল কোড়া আর কলা পাতা সহযোগে তৈরি হয় তাল পাতুরি ।
ভালো থাকবেন। 🍀
চিত্রসুত্রঃ গুগল
0 Comments
আপনার মতামতের জন্য ধন্যবাদ।