ডালিম খাওয়ার পুষ্টিগুণ অনেক।

ডালিম ফল এর ভিতরে থাকা বিউটেলিক, আরসোলিক এবং অ্যালকালীয়, আইসোপেরেটাইরিন, মিথাইলরেটাইরিন সহ যাবতীয় এসিড থাকায় মানব দেহের অনেক রোগের ঔষধ হিসেবে কাজ করে। ডালিম ফল কবিরাজী চিকিৎসার ক্ষেত্রেও খুব জনপ্রিয় একটি ফল। ডালিম ফল অনেক রোগীদের কোষ্ঠ রোগ থেকে একমাত্র নিরাময়কারী হিসেবে উপকারে আসে। তাছাড়াও ডালিম ফলের গাছের ছাল, শিকড় ও ডালিম ফলের খোসা অতি পুরোনো আমাশয় রোগের নিরাময় হিসেবে যথেষ্ট ঔষূধী হিসেবে কাজ করে। ডালিম ফল খাওয়ার ফলে মানবদেহের তৃপ্তিদায়ক খাবারের অরুচি দূর করে।

.ডালিম এর ফুল ব্যবহারে মানবদেহের যেকোন দূর্ঘটনার কারণে শরীরের মধ্যে ফেটে যাওয়া এবং থেঁতলে যাওয়া অংশে দুই হাতের মধ্যে বেটে লাগালে রক্ত ক্ষরণ হতে অতি তাড়াতাড়ি বন্ধ হয়। অনেক সময়ে ডালিম গাছে ফুল না থাকলে ডালিম এর তাজা সবুজ পাতা বেটে ক্ষত স্থানে ব্যবহার করলে রক্ত বন্ধ হতে সহায়তা করবে।

২. অনেক সময় দেখা যায় অনেক মানুষের নাক দিয়ে রক্তপড়া রোগ লক্ষ্য করা যায়। সেই সব ব্যক্তিদের প্রয়োজন যখন নাক দিয়ে রক্ত ঝরছে তখন ডালিম ফুলের রস ব্যবহার করা। ডালিম ফুলের রস ব্যবহারে নাকের রক্ত ঝরা রোগের সঠিকভাবে কাজ করে।

৩. অনেক দীর্ঘ মেয়াদী রোগী আছে যারা অনেক বছর ধরে শরীরের মধ্যে থাকা আমাশয় রোগে ভুগছেন, সেই সব রোগীদের ক্ষেত্রে ডালিম এর খোসা প্রতিদিন ভালোভাবে সিদ্ধ করার পর সেবনের মাধ্যমে আমাশয় রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। শরীরের বিভিন্ন রোগ নিরাময়ের জন্য আমরা অনেক সময় ডালিম খেয়ে থাকি, তবে ডালিম ফল খাওয়ার পর ডালিম এর খোসা ছুড়ে না ফেলে রোদে ভালোভাবে শুকিয়ে রাখতে ঘরের যে কোন শুস্ক স্থানে রাখতে পারি। কারণ ডালিম এর শুকনো খোসা শরীরের জন্য অনেক প্রকার রোগ নিরাময়ের জন্য কাজে আসে।

৪. শরীরের মধ্যে অনেক সময় ফোঁড়া হয়ে থাকে সেই সব ফোঁড়া স্থানে ডালিম গাছের চামড়া ভালোভাবে ছড়িয়ে বেটে লাগিয়ে দিলে ফোঁড়ার যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব হবে। মহিলাদের অনেক গোপনীয় রোগ থাকে, সেই সব রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য 4 থেকে 5 টি ডালিম এর ফুল ভালোভাবে গুড়া করে অথবা বেটে ভালো মধুতে মিশে কয়েকদিন পান করলে গোপন রোগের কাজ করে ডালিম। 

সূত্রঃপ্রথম আলো,

Post a Comment

0 Comments